করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে তিন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। অন্য দুজনের একজন কোম্পানিতে ও আরেকজন একটি মার্কেটে চাকরি করতেন। জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম তিন প্রবাসীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দুই বাংলাদেশির মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছি। আরেকজনের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। কিন্তু তার কোনো প্রতিবেদন পাইনি। যে দুজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে একজন ডাক্তার ও অপরজন একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন।’

মৃত চিকিৎসকের নাম আফাক হোসেন (৫৮)। অপর দুজনের নাম হলো, মোহাম্মদ হাসান (৩৮) ও কোরবান আলী (৫৪)। মদিনায় একটি বেসরিকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন আফাক হোসেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যশোর জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

মদিনার আল তাইবা মার্কেটে কাজ করতেন মোহাম্মদ হাসান। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকফিরানী দূর্লুবের পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম লিয়াকত আলী।

হাসানের ছোট ভাই মোহাম্মদ হেলাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকায় বন্ধুসহ একটি খামারে বেড়াতে যান তার ভাই। সেখানে গিয়ে সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।

মদিনার সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন কোরবান আলী। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। গত ২৪ মার্চ রাত ৮টার দিকে মদিনার আল জাহরা হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট তার মৃত্যুর খবর জানায়।

কোরবান আলীর মৃত্যুর প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ঢাকার সাভার উপজেলার সাদাপুর পূরান গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম রেজাউল করিম বলে জানা গেছে। আল জাহরা হাসপাতাল থেকে গতকাল সোমবার জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে তার মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়।

কোরবান আলীর কোনো আত্মীয় বা পরিচিতজন এখন পর্যন্ত জেদ্দা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট উইং একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে, বলেন কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত সৌদি আরবে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৩ জন। মারা গেছেন ১০ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১৫ জন।