টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হবিবুর রহমান হবি (৩৫) নামের এক পান বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান। অসুস্থ হয়ে ওই যুবক তিন-চার দিন আগে গাজীপুর থেকে বাড়ি আসেন। হবিবুর রহমান উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের টেক্কার বাজার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

মহিষমারা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম আজাদ জানান, হাবিবুর গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় ফেরি করে পান বিক্রি করতেন। তিন-চারদিন দিন আগে জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। কিন্তু বিষয়টি পরিবারের লোকজন গোপন রেখেছিল। সোমবার থেকে তার পাতলা পায়খানাও শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার রক্ত বমি করতে করতে তিনি মারা যান।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শুনেছি হাবিবুর গাজীপুরে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধও খেয়েছিলেন।’

এদিকে ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে হবিবুর মারা গেছেন’ এলাকায় এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কে আশেপাশের বাড়ির লোকজনও দূরে সরে যান।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের লক্ষণ হবির মধ্যে ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে করোনা রোগীরা রক্ত বমি করে না। তারপরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিম পাঠানো হয়েছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করবেন। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না, নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ‘আইইডিসিআরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রুবিনার নেতৃত্বে একটি দল মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছেন। ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। ওই দলের তত্ত্বাবধানে মৃত ব্যক্তির দাফন হবে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি অবরুদ্ধ (লকডাউন) করা হয়েছে।’

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে যদি ওই ব্যক্তি মারা গিয়ে থাকেন, তবে তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হবে।’