রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে থাকা ৬০ বছর বয়সী এক সবজি বিক্রেতা ও সদরের চন্দনী ইউনিয়নের পূর্ব ডাউকী গ্রামের এক কিশোরকে (১৭) করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীরর ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক সবজি বিক্রেতা। তার পরে একই সমস্যা নিয়ে আসেন এক যুবক। এই যুবকের মা রুবি বেগম একজন নার্স। তিনি উখিয়া এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৫ মার্চ ওই নার্স বাড়িতে আসে। এরপর থেকেই তার ছেলের জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে তার করোনা সংক্রামণ হয়েছে।

চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রশাসনের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রুবি বেগমের বাড়িটি লকডাউন করে গ্রাম পুলিশকে পাহারায় বসানো হয়েছে। পরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের দুই জনকেই ঢাকার কুর্মিটোলা ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের ডাক্তার শামীম আহসান বলেন, সকালে এক সবজি বিক্রেতা ও এক যুবক জ্বর, কাশি ও ঠাণ্ডা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। বর্তমানে তারা নিউমোনিয়া আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬ জন বেড়ে রাজবাড়ীতে ৬৩৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৮৩ জন। এর আগে করোনা সন্দেহে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে তারা কেউই করোনায় আক্রান্ত নন বলে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পরীক্ষায় নিশ্চিত করা হয়।