দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দীন মসজিদে তাবলীগের সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে কমপক্ষে ১২৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্রায় পুরো এলাকাটাই সংক্রমিত। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই অঞ্চলে থেকে প্রায় ২ হাজার ১০০ জনকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আয়োজিত সমাবেশে যোগদান করার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মার্কাজ নিজামুদ্দীন সিল করে দেওয়া হয়, এবং সেখানে থাকা অসংখ্য মানুষকে বের করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। যে সব রাজ্যের মানুষ ওই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের খোঁজ করা হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত যাদের সন্ধান মিলেছে তাদের মধ্যে আক্রান্ত ১২৮ জন।

মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দীনে তবলীগে জামাতের ‘মার্কাজ’ কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানায়, যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২২ মার্চ ‘জনতা কারফিউ’ ঘোষণা করার পর এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই মসজিদ চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। তারা ওই কারফিউয়ের কারণে আটকা পড়ে। তাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না।

এই সমাবেশে ভারত ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের লোক যোগ দেন। এখানে যোগ দেওয়া মোট ৮২২ জন বিদেশি বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। তাদের বিবরণও বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রধানদের জানানো হয়েছে।