ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদে নির্যাতনকারী সেই নাবিল হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকায় তার নিজ বাড়ির থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. রাসেলুর রহমান। গ্রেফতারকৃত নাবিল হায়দার ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ছেলে।

আহত সাগর চৌধুরী ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের সরকারি নিবন্ধিত জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল ৪০ কেজি করে বিতরণের অনিয়ম ও রাতের আধাঁরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিক সাগর চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজীকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছোটে ছেলে নাবিল তাকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফোন করে জরুরী কথা আছে বলে বোরহানউদ্দিনের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে আসতে বলে। পরে সাগর আসলেই নাবিল তার শার্টের কলার ধরে মারধর করে এবং বলে সাগর তার মোবাইল চুরির করার চেষ্টা করছে।

আর এ মারধরের ভিডিও এসময় নাবিল তার নিজ ফেসবুকে লাইভ চালান। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় সাগরকে উদ্ধার করা হয়। পরে সাগরের পরিবারের সহযোগীতায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই বোরহানউদ্দিন থানায় নাবিলকে প্রধান ও অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত সাগর চৌধুরী।

বোরহানউদ্দিন ভারপ্রাপ্ত উজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী জানান, গত কয়েক দিন আগে আমাকে সাগর চৌধুরী ফোন করে বড় মানিকা ইউনিয়নের চাল কম দেওয়া বিষয়টি জানায়। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি ওই চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলি। তখন চেয়ারম্যান বিষয়টি অস্বাীকার করে বলেন সাগর চৌধুরী দুই জন লোককে চাল বেশি পাইয়ে দিবে বলে তাদের কাছ থেকে চাল কম দেওয়া হচ্ছে এমন একটি ভিডিও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, সাংবাদিক সাগর চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় নাবিলকে প্রধান ও আরও ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকে নাবিলকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।