বগুড়ার সরকারি মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রে মারা যাওয়া শিশুটির লাশ (১৩) পুলিশি পাহারায় স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম মেনে দাফন করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মারা যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১১টায় গাবতলী উপজেলার দড়ি সোনাকানিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শিশুটির লাশ দাফন করা হয়। মৃত্যুর পর থেকেই শিশুটির আশপাশের ৩টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোকে গতকাল গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রওনক জাহান খাদ্যসামগ্রী দেন।

গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও থানা পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ১ এপ্রিল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই শিশুকে বিকাল সাড়ে ৩টায় করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে সন্ধ্যা ৭টায় মারা যায়। শিশুটির পায়ে ইনফেকশন ছিল। এই ইনফেকশনের চিকিৎসা নিত গ্রাম্য কবিরাজের কাছে। কবিরাজি চিকিৎসার নাম করে মাথায় প্রচুর পানি ঢালতো। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই শিশুটির নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। পরিবারের লোকজন স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার দেখানোর পর বেশি অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় শিশুটি মারা যায়। পরে শিশুটির জানাজা শেষে দাফন করা হয় রাতেই। দাফন কাজে গাবতলী থানার বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুসা মিয়া, এসআই আরিফুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক পড়তে দেখা যায়।

বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন গাওসুল আজিম চৌধুরী জানান, শিশুটি মারা যাওয়ার পরপরই তার নমুনা সংগ্রহ করে গতকাল রাজশাহী প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্টটি হাতে এলেই বলা যাবে আদতেই সে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। তবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।