লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা পুলিশের হামলায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর ও এক মহিলা ইউপি সদস্য, কলেজছাত্রীসহ ৭ জন গ্রামবাসী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের এমন কাজে নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলা শেষে পুলিশ ৫ জন গ্রামবাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও পরে মধ্য রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

বড়খাতা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য মাজেদা বেগম, স্থানীয় গ্রামবাসী মারুফা বেগম ও কলেজছাত্রী শারমিন বলেন, ওই এলাকায় সফিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির সাথে জমির সীমানায় দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মসজিদ কমিটির দ্বন্দ্ব ছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহফুজ রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ ওই ঘটনা তদন্ত করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে তাদের তর্ক হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা থানা থেকে ৩০- ৪০ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এতে নারী সদস্য মাজেদা বেগমসহ ৭ জন গ্রামবাসী পুলিশের হামলায় আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে লোকজন অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাদেরকে মারধর করেছেন। এতে নারী ইউপি সদস্য মাজেদা বেগমসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এবিষয়ে কথা বলতে গেলে হাতীবান্ধার দোয়ানি পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মাহফুজ রহমানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নজীর হোসেন বলেন, জমির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ হামলা করেনি বরং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে মাত্র। গ্রামবাসীকে আটকের পর ছেড়ে দিলেন কেন? এমন পশ্নে তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমঝোতায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।