দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের তাবলিগ জামাতের সমাবেশে যোগ দেওয়া ১২ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবেও শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাজ্যের শামলি জেলায় এ মামলা করা হয় বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে ১২ বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভি আসে। তাদেরকে থানা ভবন শহরের একটি কলেজে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, আটক বাংলাদেশি নাগরিকরা সবাই পর্যটক ভিসা নিয়েই ভারতে ঢুকেছিলেন এবং ভিসার শর্ত ভেঙে তারা ধর্মীয় প্রচারণা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। তাদের কারও ভিসার মেয়াদও এর মধ্যে ফুরিয়ে গেছে। যে কারণে ১২ জনের বিরুদ্ধেই থানা ভবন পুলিশ স্টেশনে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। ওই ১২ বাংলাদেশিকে শামলি জেলার ভাসানি গ্রামের একটি মসজিদে পাওয়া যায়। তাদের আশ্রয়দানকারী দুই ভারতীয়কেও আটক করা হয়েছে। তারা সবাই দিল্লির তাবলিগ সমাবেশে অংশ নেন। পরে সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘চিল্লা’ বা ধর্মীয় প্রচারে বেরিয়েছিলেন।

গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিজামউদ্দিনে চলছিল তাবলিগ জামাতের ইজতেমা। এর পরেও প্রায় ১০-১২ দিন ধরে নিজামউদ্দিন মসজিদে ছিলেন প্রায় কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশি ছিলেন। তাবলিগের এসব প্রতিনিধি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মিলিয়ে ছয় শতাধিক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন।