নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। এই নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৩ জন। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে পাঁচটি এলাকায় আরো পাঁচ শতাধিক পরিবারকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, শহরেরর জামতলা হাজী ব্রাদাস রোড এলাকার ৬৭ বছর বয়সী (হাজী গিয়াস উদ্দিন নামে) এক ব্যক্তি এবং শহরের দেওভোগ আখড়া এলাকার ৬৫ বছর বয়সী (চিত্তরঞ্জণ ঘোষ নামে) এক ব্যক্তির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এই দুই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। করোনা সন্দেহভাজন ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার ৪৫ বছর বয়সী এক নারী শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। স্বজনরা লাশ নিয়ে বন্দরে রসুলবাগ এলাকায় দাফনের দুইদিন পর ওই নারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ৩ এপ্রিল রাতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফুতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের চুচিন্তাপুর এলাকার বাসিন্দা এক হোসিয়ারি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। ৫ এপ্রিল ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।

এই তিনটি ঘটনায় বন্দর উপজেলার রসুলবাগ, শহরের নন্দীপাড়া, সদর উপজেলার কাশিপুর আমবাগান এলাকা ও পূর্ব লামাপাড়া এলাকা এবং শহরের হাজী ব্রাদাস রোর্ডের একটি পাচতলা বাড়িসহ প্রায় ১ হাজার পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।