দুই দফা লকডাউনের পরও ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। দেশটিতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯২ হাজারের বেশি মানুষ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তবে কেউ মারা যাননি।

প্রবাসীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক সহায়তার জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। গত শুক্রবার এ কার্যক্রমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উত্তরণের পন্থা, অনিয়মিতদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, আবাসন, চিকিৎসা ও ফান্ড রাইজিংয়ের ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের খোজ-খবর নেওয়া সহ সার্বিক সহায়তার করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

নিজ দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক হিসেবে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন ওষুধ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। দেশের মেডিকেল সংক্রান্ত সর্বোচ্চ কমিশন হাউট কাউনসিল দে লা সান্তে পাবলিওকো (এইচএসসিপি) বলেছে, রোগীর অবস্থা অশঙ্কাজনক হলে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সাই শহরে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেছে আর তাতে আশ্চর্যজনক ফল আসছে বলে জানিয়েছে মার্সাই হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডিডিয়ে রাউল্ট।

এ ছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়জিত ফ্রান্সের হাসপাতাল গুলোর ডাক্তার, নার্স, স্টাফ ও স্বেচ্ছাসেবীদের আর্থিক সহযোগিতায় জন্য একটি তহবিল গঠন করছেন ফ্রান্সের ফাস্ট লেডি ব্রিজিত মাক্রোঁ।

সফটওয়্যার সল্যুশন কোম্পানি ‘ডারাক্সে’র পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ওয়ার্ল্ডোমিটারে’ প্রকাশিত তথ্যমতে, ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯২ হাজার ৮৩৯ জন আর মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৭৮ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন আরও ছয় হাজার ৮৩৮ জন।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২০৮টি দেশ ও অঞ্চলে এবং ডায়মন্ড প্রিন্সেস ও এমএস জ্যান্দাম নামে দুটি আন্তর্জাতিক প্রমোদতরীতে। ভাইরাসটির সংক্রমণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৬৯ হাজার ৪৮৭ জন। সারা বিশ্বে ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৮ জন।