সংক্রমক রোগ জীবাণু প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে (সরকারি সিদ্ধান্ত না মেনে) মহাসড়কে যানবাহন চালানোর অভিযোগে ছয় চালকের বিরুদ্ধে মামলা ও অর্থদন্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ওই আদালত পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসি উজ্জামান চৌধুরী ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহরাব হোসাইন-এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসি উজ্জামান জানান, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চালকের সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রী (গাদাগাদি করে) বহন করার অভিযোগে মোটরসাইকেল, পিক-আপ, মাইক্রোবাসসহ ছয়টি যানবাহনের চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিভিন্ন পরিমান অর্থদন্ডে দন্ডিত ও আদায় করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ৯ম পদাতিক ডিভিশনের ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ এএফডব্লিউসি পিএসসি মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকাসহ কয়েকটি চেকপোস্ট পরিদর্শণ করেন। এসময় ১৮ ইষ্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. রাজিব হোসেন খান পিএসসি, মেজর সৈয়দ তানভীর সালেহ, মেজর মাহফুজুর রহমান ও ক্যাপ্টেন রেজওয়ান উল হক, জিএমপি’র সহকারি কমিশনার কামরুজ্জামানসহ সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শণকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকেই দেশব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষার জন্য সীমিত জনচলাচল নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সড়ক মহাসড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোষ্ট বসিয়ে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

এর আগে ওই সেনাকর্মকর্তা করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে করণীয় সম্পর্কে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় যোগ দেন।