অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখার এক কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার তার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ওই শাখা লকডাউন করে প্রশাসন। এ ছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দারুসসালাম থানার একটি শাখাও লকডাউন করার খবর পাওয়া গেছে। করোনার কারণে প্রশাসন কোনো এলাকা লকডাউন করলে সেখানকার সব ব্যাংক শাখা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার ওই কর্মকর্তা বৈদেশিক রেমিট্যান্স বিভাগে কাজ করেন। গত মঙ্গলবারও তিনি অফিস করেছেন। সিনিয়র অফিসার পর্যায়ের ওই কর্মকর্তার এক আত্মীয় সম্প্রতি ইতালি থেকে এসেছেন। তার কাছ থেকে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তার বাসা রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে। তার বাসার এলাকাও লকডাউন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ শামসুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার এক কর্মকর্তার জ্বর ছিল। পরে টেস্ট করলে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাই শাখাটি লকডাউন করে দিয়েছি। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন শাখায় কাজ করতেন। তার সঙ্গে এ সময় ব্যাংকে ছিলেন ৬২ জন, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৪ দিন ব্যাংক লকডাউন থাকবে। আর প্রিন্সিপাল শাখার কার্যক্রম মতিঝিল আমিন কোর্ট শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে করোনার সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন সারাদেশে প্রায় ৫৭টি এলাকা লকডাউন করেছে। ওইসব এলাকায় সব ব্যাংকের শাখা বন্ধ রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক শাখা বন্ধ রাখার জন্য অফিস আদেশ জারি করেছে। সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে। ওইসব এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব শাখা বন্ধ থাকবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যতীত দর্শনার্থী/সাক্ষাৎ প্রার্থীদের ব্যাংকে আগমন নিরুৎসাহিত করতে হবে। ব্যাংকে উপস্থিত সবার মধ্যে যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন ব্যাংকে আগত বিভিন্ন ভাতা গ্রহণকারীসহ গ্রাহক/দর্শনার্থী/সাক্ষাৎপ্রার্থী ও কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ব্যাংকে আগমন করার পর নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখছেন না।’ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এ সার্কুলারে।