বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে এ আবেদন করেন তিনি। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি (মাজেদ) প্রাণভিক্ষার একটি আবেদন দিয়েছেন। আমরা সন্ধ্যার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় আছি। আদেশ যাই হোক, আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘এখন আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করার জন্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই রায় কার্যকর করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাক্ষ্য, প্রমাণে বিচারিক ও আপিল আদালতে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।’

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন। গত ১৬ মার্চ তিনি ঢাকায় আসেন। এরপর সোমবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ৪৫ বছর, নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের মামলার ২৫ বছর এবং উচ্চ আদালতের রায়ে পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকরের ১১ বছর পর গ্রেপ্তার হলেন খুনি মাজেদ।