শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা সেই যুবক (৩৪) মৃত্যুবরণ করেছে। বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের সময় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমেদ খান। এর আগে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সাড়ে ১২টার দিকে এক ওই যুবক‌ সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আইসোলেশনে রাখা হয় তাকে। ওই যুবকের বাড়ি নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামা‌নিক ইউনিয়নের কলারগাঁও গ্রামে।

নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান জানান, এই ঘটনার পর থেকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নিহত ওই যুবকের বাড়িসহ ১৮টি বাড়ির ৮৫ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় এনেছি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমেদ খান বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দি‌কে ওই যুবক‌ নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিতে এলে করোনা উপসর্গ থাকায় সেখান থেকে তাকে আমাদের এখানে পাঠালে আমরা তাকে সন্দেহ জনক অবস্থায় আইসোলেশনে ভর্তি রাখি। আজ বুধবার বিকেল তার মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আবদুর রশিদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত) নিহত ব্যক্তিসহ ৮ আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে আসিডিডিআরবি পাঠানো হয়েছে। নতুন করে আরও ১ জন মহিলাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সি‌ভিল সার্জন এস এম আব্দুল্লাহ আল-মুরাদ ব‌লেন, গতকাল সর্দি জ্বর ও কাশি নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই যুবক সহ ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আজ সকালে আসিডিডিআরবি’তে পাঠিয়েছি। এখন আমরা রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট আসলে রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, জেলায় ৫০টি আইসোলেশন শয্যা ও ১০০টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল সকাল দশটায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের থিরোপাড়া গ্রামের আমানুল্লাহ বেপারী নামে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নড়িয়া উপজেলার ৩৪ পরিবারের ১৮৯ জনকে লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি উপজেলার হাটবাজার লকডাউন করা হয়।