বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। প্রায় প্রতিটি দেশেই নিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন সরকার প্রধানরা। নিজ নিজ নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য সাধারণ নিয়ম বলবৎ করেছে কযেকটি দেশ। নিয়মিত সেবার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আক্রান্ত ও মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না।

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত দেশ সিঙ্গাপুর। করোনাার প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে কিছুটা নিরাপদ থাকলেও বর্তমান অবস্থা ভিন্ন। দেশটিতে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর মিছিল শুরু না হলেও দেশটিতে লাশের লম্বা লাইন জমবে তা ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে প্রবাসীদের লাশের লাইন র্দীর্ঘ হতে পারে অর্থনীতিতে বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটিতে। সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের মাঝেই করোনা ছড়াচ্ছে বেশি।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আজ বুধবার নতুন ৫৬ রোগীসহ এ পর্যন্ত ২৪৪ জন বাংলাদেশি প্রবাসী সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ৫ প্রবাসী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে অভিবাসী কর্মীদের আলাদা বাসা নিয়ে থাকার অনুমতি নেই। তাদের বসবাস করতে হয় ডরমেটরিতে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার চারটি ডরমেটরি লকডাউন করে দিয়েছে। এই ডরমেটরিগুলোতে প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী বসবাস করেন।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি প্রবাসী এমদাদুর রহমান সোহেল। বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকেও তার পরিবার প্রতিদিন খোঁজ নিচ্ছেন। তাকেও খোঁজ নিতে হচ্ছে। মৃত্যু ভয় কাজ করছে তাদের মধ্যে।

ডরমেটরিতে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছ থেকে আরও জানা গেছে, সেখানকার টয়লেট, কিচেন, যৌথ ডাইনিং থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে। কেউ আক্রান্ত হলে খুব সহজে অন্যরাও সংক্রমিত হতে পারেন।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সেফটি এবং হেলথ কর্মকর্তা মো. আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘এ সময় আমাদের কারো শারীরিক অসুস্থতা গোপন করা উচিত নয়৷ অসুস্থ হলে সাথে সাথে ডাক্তার দেখানো উচিত। নিয়ম মেনে চললে ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।’

সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৩ জন। আজ বুধবার দেশটিতে রেকর্ড ১৪২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ৪০৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃতের সংখ্যা ৬, নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।