করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছয় বছরের সেই শিশু মারা গেছে। রোববার রাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত আশরাফুল আলম (৬) পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ওসমান পাড়া প্রবাসী খলিলুর রহমান প্রকাশ সজলের ছেলে। জানা গেছে, আশরাফুল আলমের বাবা সজল গত ২ মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যের ওমান থেকে দেশে ফেরেন।

এর মধ্যে ছেলের অসুখ দেখা দিলে গত শনিবার দুপুর ১২টার সময় পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে করোনা অনুমান করে রোগীর শরীর থেকে স্যাম্পল কালেকশন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার রাত ৯টায় ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি আমাদের সময়কে জানান, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুটি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসার পর রোববার মধ্যরাতে হাসপাতালে আনা হয়। রাত আড়াইটায় শিশুটির মৃত্যু হয়।’

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজেটিভ আসার পর গতকাল রাতে শিশুটিকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় ওই শিশুসহ মোট ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

এরপর রাতে ওই শিশুর বাড়ি পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হলো। এর আগে সাতকানিয়ায় মৃত এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।