করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করছে ইরান। এর মাধ্যমে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি করেছে দেশটির বিশেষজ্ঞরা। খবর তেহরান টাইমসের। কনভ্যালসেন্টস প্লাজমা থেরাপি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে দেয়া হয়। প্লাজমা থেরাপি প্রজেক্টের নেতৃত্বে থাকা ডা. হাসান আবুলকাসেমি বলেছেন, আমরা প্রায় ৪০ দিন আগে প্লাজমা থেরাপি শুরু করেছিলাম এবং এখন পর্যন্ত ৩০০ জন তাদের ব্লাড প্লাজমা দান করেছেন এবং এর ফলে করোনভাইরাস জনিত মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, আসল বিষয় হলো আমরা যখন মহামারির মুখোমুখি হই তখন কেউই (এটি মোকাবিলার জন্য) প্রস্তুত থাকে না, তখন গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বাঁচানো অগ্রাধিকার পায়। তার মতে, সার্স, মার্স-সিওভি এবং ইবোলা জাতীয় অন্যান্য রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেনি। ইরানি এই বিশেষজ্ঞ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তিন সপ্তাহ পরে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা শুরু করে। পরে ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং আরও কিছু ইউরোপীয় দেশও প্লাজমা থেরাপি শুরু করে এবং আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য অনুরোধ করে। তিনি বলেন, এটি সম্ভবত এই কারণে যে আমরা একচেটিয়াভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পর্যন্ত ইরান ৭৪ হাজার ৮৭৭ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চার হাজার ৬৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়েছে ৪৮ হাজার ১২৯ জন।