ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে গত ১৩ দিনে ৬৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৮ জনের। তারমধ্যে দুইজন চিকিৎসক। ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার মানুষদের পরীক্ষা করে এই রোগীগুলো পাওয়া গেছে।

রক্তের নমুনা বেশি আসায় আজ থেকে পিসিআর ল্যাবে দুই শিফটে পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে মমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ জানিয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বদ্ধি পাচ্ছে। জামালপুর ও নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজে আরও দুটি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান।

মমেক অধ্যক্ষ আরও জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর আর জামালপুর জেলার ৬৯০ জনের নমুনা এনে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা গেছে। আক্রান্ত ২৮ জনের মধ্যে জামালপুর জেলায় ১১, নেত্রকোনায় ৫ জন, শেরপুরে ৬ জন ও ময়মনসিংহে ৬ জন রয়েছেন।

ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, ১৩তম দিন গতকাল ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তারমধ্যে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন চিকিৎসক। জেলায় ১২০টি আইসোলেশন বেড রয়েছে, তিনটি ভেন্টিলেটরসহ পাঁচটি আইসিইউ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।

ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি বর্ষীয়ান আইনজীবী প্রবীণ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলাকে সীল করে দেওয়া হোক, নামেমাত্র নয় কার্যকর লকডাউন করার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে জামালপুর ও নেত্রকোণায় মেডিকেল কলেজে আরও দুটি করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, যতবেশী পিসিআর ল্যাব স্থাপন ও বেশি বেশি পরীক্ষা করা হবে তত বেশি রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হবে।