নীলফামারীর ডিমলায় নিখোঁজের ৮দিন পর রুজেল ইসলাম(১১)নামের এক শিশুর চার টুকরো লাশ ভুট্রা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে এলাকারাসীর সহযোগীতায় পুলিশ।বুবধার(১৫এপ্রিল)দুপুরে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে জেলা মর্গে প্রেরন করেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল) জয়ব্রত পাল।শিশুটি ডিমলা সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা গ্রামের মৃত, মোজাম উদ্দিনের ছেলে।
শিশুটির স্বজন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা আমতলী গ্রামের মৃত, মোজাম উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র রুজেল ইসলাম বাবা-মা মারা যাবার পর থেকে তার নানী ভিক্ষুক রেজিয়া বেগমের বাড়িতে থাকত।গত ৮ এপ্রিল থেকে শিশুটি হঠাৎ নিখোজ হয়ে যায়।পরিবারের পক্ষে অনেক খোজাখুজির পর মাইকিং করেও কোনো সন্ধান মেলেনি।বুধবার সকালে ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট দক্ষিনপাড়া গ্রামের এতিমখানা সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী বাবুলের বাড়ির সামনে কুকুর শিশুটির খন্ডিত একটি হাত ফেলে রেখে গেলে তা দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।পরে এলাকাবাসী অনেক-খোজা খুজির এক পর্যায়ে পচা গন্ধ অনুভূত হলে রামডাঙ্গা আমতলী বাজারের উত্তর দিকে একটি কালভার্ডের পাশে লেলিন নামের একজনের ভুট্টা ক্ষেতে শিশুটির বাকী তিন খন্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে ডিমলা থানা পুলিশ শিশুটির চার খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়।স্থানীয়দের ধারনা শিশুটি নিখোজের দিন তাকে হত্যা করে ভুট্রাক্ষেতে হয়তোবা ফেলে রাখা হয়েছিল।

ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, শিশুটিকে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।পরে হয়তোবা লাশটির পচা গন্ধ পেয়ে শিয়াল ও কুকুর লাশটিকে টুকরো করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল।

সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি॥