বর্তমানে আক্রান্তদের বেশীর ভাগ ই জানেনা তারা কিভাবে আক্রান্ত হয়েছে। বাইরে গিয়ে বাসায় ফিরে আক্রান্ত হয়ে যায়। এটাই সামাজিক সংক্রমণ। ঢাকার মোহাম্মদপুর শেখেরটেক। মিরপুর টোলারবাগ যাত্রাবাড়ী ওয়ারী এবং পুরো নারায়নগঞ্জে সামাজিক সংক্রমন ঘটেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এঐ সব এলাকা রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এছাড়াও ঢাকায় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা চিহ্নিত হচ্ছে।

মানুষ বাজারের জন‍্য হলেও বাইরে যায়। যে কোন অসতর্ক মুহূর্তে সে সংক্রমনের স্বিকার হয়ে যায়। আক্রান্ত মানুষ বাসায় ফিরে নিজে জানার আগেই আক্রান্ত করে দিচ্ছে তার আশেপাশের অনেক কে। সামাজিক সংক্রমনের কারনে করোনা ভয়াবহ মহামারীতে রুপান্তরিত হতে পারে। বিশেষ মাস্ক ব‍্যবহার করুন। সার্জিক্যাল মাস্ক ব‍্যবহার করুন। নরমাল কাপড়ের মাস্ক ভাইরাস প্রতিরোধে খুব একটা কার্যকর নয়। হাতে গ্লাভস পরুন। চোখে চশমা ব‍্যবহার করুন। কারন হাঁচি কাশিতে যে জলীয় কনা বাতাসে ভেসে বেড়ায় তা মানুষের নাক মুখ ও চোখের মাধ‍্যমে প্রবেশ করতে পারে। নিজেকে জনসমাগম থেকে দূরে রাখুন।

সুবিধা মত খোলামেলা দোকান থেকে বাজার করুন। যাতে অন্যজন থেকে যথেষ্ট দূরে থাকা যায়। দোকানে সবাই যেখানে হাত রাখে ঐসব জায়গা স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন। বাসায় ঢুকেই ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিতে পরিহিত কাপড় ভিজিয়ে রাখুন। পারলে সাবান দিয়ে গোসল করে ফেলুন। গোসল না করলে হাত পা যতটুকু পারা যায় সাবান দিয়ে সর্বনিম্ন বিশ সেকেন্ড ধরে ধুয়ে নিন। দরজার হাতল স‍্যানিটাইজার অথব হেক্সল দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে পড়ার জুতো স‍্যান্ডেল বাইরে রাখার ব‍্যবস্হা করুন। বার বার বাইরে যাওয়া পরিহার করুন। সপ্তাহের দরকারি জিনিস একবারে ক্রয় করার চেষ্টা করুন।

লেখকঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম পলাশ।