গত সপ্তাহে আরও ৫২ লাখ মার্কিনি বেকার হয়েছে বলে নিবন্ধন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, এর ফলে গত চার সপ্তাহে দেশটিতে দুই কোটি ২০ লাখ বেকার হয়েছে। এর আগে সপ্তাহে আরও বেশি মানুষ বেকার হয়েছিল। ওই সপ্তাহে ৬৬ লাখ মার্কিনি বেকার হওয়ার দাবি করে। ২০০৯ সালের জুন মাসের পর থেকে মার্কিন অর্থনীতিতে দুই কোটির বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু গত চার সপ্তাহে চাকরি হারিয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ।

অর্থনীতিবিদরা অনুমান করেছিলেন, ১১ এপ্রিল শেষ সপ্তাহে ৫৫ লাখ মানুষ বেকার হবে। এর আগে দুই সপ্তাহে ৬৬ লাখের বেশি করে মানুষ বেকার হয়েছিল। হায়ারিং ল্যাবের অর্থনৈতিক গবেষণার পরিচালক নিক বাঙ্কার বলেন, বেকার ভাতার জন্য গত সপ্তাহেও লাখ লাখ মানুষ আবেদন করেছে। আগের দুই সপ্তাহের চেয়ে এই সংখ্যা কম হলেও, শ্রমবাজারের ওপর দিয়ে ঐতিহাসিক ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই লোকগুলো আবারও তাদের চাকরিতে ফিরতে বা নতুন জায়গায় চাকরি পাবে না তা নির্ভর করছে, মানুষজন যখন মনে করবে যে কাজে ফেরার মতো স্বাভাবিক তৈরি হয়েছে, তার ওপর। তখন ব্যবসা পুরোদমে শুরু হবে এবং বেকারত্বের সংখ্যা তখন কমতে শুরু করবে।

এদিকে সামনের দিনগুলোতে বেকার হওয়ার সংখ্যা কমে আসবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ বেকার হওয়ার পরিস্থিতিও চলে গেছে বলে মনে করছেন তারা। মরগ্যান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদ জ্যান কোজাক বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস যে সর্বোচ্চ বেকার হওয়ার পরিস্থিতি চলে গেছে, কিন্তু সার্বিক সংখ্যাটা বাড়ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এটি আড়াই কোটি পার হয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত সাত লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের।