গাজীপুরে ২৪ঘন্টায় টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আরো ৭চিকিৎসকসহ ১০৭জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত গাজীপুরে মোট ২৭৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এপর্যন্ত জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৭জন চিকিৎসক, প্রায় অর্ধশত স্বাস্থকর্মীসহ বেশ কয়েকজন পুলিশের সদস্য ও একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

গাজীপুর সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুর থেকে ১৩৭ জনের নমূনা রবিবার সকালে ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো। ওই নমূনা পরীক্ষা শেষে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ,কে,এম গোলাম মোর্শেদ খান পাভেলসহ ৮১ জনের দেহে নতুনভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমন পজেটিভ হয়েছে। এরমধ্যে গাজীপুর সদর উপজেলায় ৩২জন,কালীগঞ্জে ৩১জন, কালিয়াকৈরে ৯জন, কাপাসিয়ায় ৮জন ও শ্রীপুর উপজেলার ১জন রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গাজীপুর সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তবে জেলার তেঁতুইবাড়িস্থ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের পূর্বের সংক্রমিত ১০জনসহ ২৬জন রোগী গাজীপুরের রবিবারের রোগীর সঙ্গে যোগ করায় এদিনের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭জনে। এরমধ্যে ৭জন করে চিকিৎসক ও নার্স, দু’জন করে মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, হেলথ এসিস্ট্যান্ট ও ল্যাবরেটোরি এসিস্ট্যান্ট এবং একজন ইপিআই টেকনোলোজিষ্টও রয়েছেন। এনিয়ে গাজীপুরে মোট করোনা সংক্রমনের সংখ্যা হলো ২৭৯। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত ১৭জন চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশের সদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং একজন সাংবাদিকও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম সরকারও রয়েছেন।

তিনি আরো জানান, এসিল্যান্ড পাভেলের সঙ্গে তার স্ত্রী সন্তানের নমুনাও ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে ঢাকা থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসিল্যান্ড পাভেলের দেহে করোনা সংক্রমনের ফল পজেটিভ পাওয়া গেছে। তবে তার স্ত্রী ও সন্তানের নমুনার ফল এখনও জানা যায়নি।

গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মশিউর রহমান জানান, টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের এসি ল্যান্ড গোলাম মোর্শেদ খান পাভেল সম্প্রতি জিএমপির গাছা থানা পুলিশের সঙ্গে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। পরে জানা গেছে গাছা থানার ৫ পুলিশ কর্মকর্তার দেহেও করোনা সংক্রমন ভাইরাস পজেটিভ হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে গোলাম মোর্শেদ গাছা থানার ওইসব পুলিশ কর্মকর্তাদের সংস্পর্শে যাওয়ার কারণেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তিনি বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন।