ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ২৩ জন চিকিৎসকসহ ৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্তের তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেওয়া একজন রোগীর থেকে চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে এই সংক্রমণ ঘটছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গতকাল রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবী। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের শনিবার হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হন। জরুরি ওই রোগীর অস্ত্রোপচারে যারা যুক্ত ছিলেন, তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছেন।

হাসপাতালের পরিচালক বলেন, গত বৃহস্পতিবার ১২ জন এবং শুক্রবার ১০ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল। তাদের মধ্যে সার্জারি ও গাইনি বিভাগের ১০ জন চিকিৎসক এবং আটজন নার্স ছিলেন। পরদিন ৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করালে তাদের সবার ফল ‘নেগেটিভ’ আসে।

তবে রোববার আরও ১৩ জন চিকিৎসক এবং সাতজন নার্সের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৩ জনই চিকিৎসক এবং একজন আনসার, যোগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবী।

মূলত ওই রোগীর মিথ্যা তথ্যের কারণেই ডাক্তাররা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেটা একজনের কাছ থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে। আর আমরাই বা কী করব, একজন রোগীর ইমার্জেন্সি অপারেশনের দরকার হলে তো অপারেশন করতে হবে, না হলে রাস্তায় মারা যাবে।’

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘গতকাল ৬৯ জনের কোভিড-১৯ নেগেটিভ রেজাল্ট আসায় আমাদের মধ্যে স্বস্তি ছিল। তবে এখন আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে।’

করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের আইসোলেশনে পাঠাচ্ছি। আর তাদের সঙ্গে কাজে যুক্ত ছিল এমনদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে।’