হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর গুরুতর অসুস্থ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে এই তথ্য সত্য নয় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রধান ব্রুস ক্লিংনার এবং দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি এনকে’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল সিএনএন। কিমকে নিয়ে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি ভুল এবং তিনি গুরুতর অসুস্থ নয় বলে বিবিসি ও রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের গোয়েন্দা সূত্র।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী কিম ‘গুরুতর অসুস্থ’ উত্তরের দিক থেকে এমন সুনির্দিষ্ট কোনো ইঙ্গিতই পাওয়া যায়নি। তবে কিম জং-উনের হার্ট সার্জারি হয়েছে এ বিষয়টিও কেউ অস্বীকার করেনি।

সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল কিম জং-উনের পিতামহের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে কিম অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরই তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর আগে গত ১২ এপ্রিল সরকারি এক বৈঠকে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল।

দেশটির সিআইএর সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রধান ব্রুস ক্লিংনার সিএনএনকে বলেছিলেন, ‘কিমের স্বাস্থ্য (ধূমপান, হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্ক) সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে যদি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে এতেই বোঝা যাবে যে কেন তিনি ১৫ এপ্রিলের গুরুত্বপূর্ণ উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কিম জং-উন বা তার পিতা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মিথ্যা স্বাস্থ্য গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি এনকে’ জানিয়েছিল, ১২ এপ্রিল কিম জং-উনের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে। অতিরিক্ত ধূমপান, মুটিয়ে যাওয়া এবং অধিক পরিশ্রমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার এ অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনি এখন হিয়াংসান কাউন্টিতে তার ভিলায় বিশ্রাম নিচ্ছেন।

এর আগেও কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে এমন গুজব ছড়িয়েছিল। এর আগে ২০১৪ সালে ৪০ দিন কিম জং উনকে দেশটির গণমাধ্যমে দেখা না যাওয়ায় তার অসুস্থতার গুজব ছড়িয়ে পড়ে।