করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে নিলেও এই মহামারি শেষ হয়ে যাবে না বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি সংক্রমণ কমে আসায় জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় এ সতর্কতা জারি করেছে সংস্থাটি। গতকাল সোমবার জেনেভা থেকে জি২০ দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসেস বলেছেন, ‘লকডাউন তুলে নিলেই করোনা মহামারি শেষ হয়ে যাবে না। এটি কেবল দ্বিতীয় ধাপের শুরু।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দেশগুলোকে তাদের জনগণকে করোনাভাইরাসের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন করে তুলতে হবে, তাদের শেখাতে হবে কীভাবে ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যাতে ভাইরাসটির পুনরুত্থান হলেও তারা এর মোকাবিলা করতে পারে।’

‘আমরা দেখেছি জি২০ এর বিভিন্ন দেশ সামাজিক নিষেধাজ্ঞাগুলো কীভাবে সহজ করা যায় তার পরিকল্পনা শুরু করেছে। এটি আমাদের উৎসাহিত করেছে’ বলেও জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি আরও বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এখন এমন ঘনবসতিপূর্ণ দেশে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, যেখানে দেশগুলো এর মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে না। তিনি জরুরি ভিত্তিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করতে বলেন

এ ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস রোধে আন্তর্জাতিক চেষ্টায় সহায়তার অংশ হিসেবে ৫০ কোটি ডলার দান করায় সৌদির আরবের প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বলেও জানান সংস্থাটির প্রধান।

ড. টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসেস বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লড়াইয়ে সহায়তার মাধ্যমে উদারতা প্রকাশ করায় দুই পবিত্র মসজিদের জিম্মাদারের কাছে আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি, জি২০ দেশগুলোর বাকি সদস্যরাও সৌদি আরবের এই পথ অনুসরণ করবে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ কমে আসায় জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। অনেক দেশে দোকানপাট, সেলুন, পার্ক খুলে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কিছু দেশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চাইছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও।