ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হাসপাতালে সাধারণ একজন রোগীর মতোই সেবা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা এক নার্স। ৫৫ বছর বয়সী জনসনের দেহে গত মাসে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে; এরপর থেকে তিনি ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনেই আইসোলেশনে ছিলেন। আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিন পরও জ্বর, কাশিসহ উপসর্গগুলো অব্যাহত থাকায় তাকে সেইন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বরিস জানান, চিকিৎসকেরা অবিশ্বাস্য সেবা দিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন। তিনি জেনি ম্যাকগি নামের এক নার্সের কথা উল্লেখ করে টিভিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নিউজিল্যান্ডের নাগরিক জেনি এই ঘটনায় অবাক হয়েছেন। টেলিভিশন নিউজিল্যান্ডকে (টিভিএনজি) জানিয়েছেন, এটা তিনি আশা করেননি। জেনি বলেন, বরিস জনসনকে বিশেষ কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ইনটেনসিভ কেয়ারে নেয়ার প্রয়োজন পড়েছিল বলেই নেয়া হয়।

একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা করতে গিয়ে কোনো ধরনের অস্বস্তি কাজ করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জেনি বলেন, আরেকটি সাধারণ দিনের মতোই সব মনে হয়েছে। সাধারণ একজন রোগীর মতোই তাকে আমরা বিবেচনা করে চিকিৎসা দিয়েছে। সুস্থ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

‘ইনটেনসিভ কেয়ারে যে কেউ আসলে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি।’ জেনিকে নিয়ে ব্রিটেনে প্রশংসা শুরু হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডানও তাকে মেসেজ পাঠিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।