‘করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়, কর্মহীন ঘরে থাকা মানুষের খাদ্য সহায়তা’ তহবিলের জন্য নিজের সঞ্চিত ১০ হাজার টাকা শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের হাতে দান করা দানবীর ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন (৮০) কে সংবর্ধনা দিয়েছেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। বুধবার (২২এপ্রিল) বিকেলে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি দেখেছেন। তিনি খুব খুশি হয়েছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওনার ঘর নির্মাণ করে দেয়াসহ তার পরিবারের ব্যয় চালানোর জন্য একটি দোকান করে দেয়া এবং চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়াও তার পরিবারের অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমরা যখন হতাশ হয়ে যাই, তখনই এ ধরনের লোকগুলো আমাদেরকে সাহস দেয়। কাজেই আমরা এ ঘটনা থেকে সাহস পেয়েছি।

উল্লেখ্য, ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামের মৃত ইয়ার আলীর ছেলে ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন (৮০) দীর্ঘদিনের তার সঞ্চিত দশ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল মাহমুদের হাতে তুলে দেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একান্ত সচিব কথা বলেন শেরপুরের জেলা ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে। এসময় তিনি ওই দানবীর ভিক্ষুকের ঘর নির্মাণসহ সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন।

ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন জানান, ভিক্ষাবৃত্তি করে তার সংসার চলে। তার ৩ ছেলে। ভিক্ষা করে গত ২ বছরে ১০ হাজার টাকা জমিয়েছেন তিনি। দেশের করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের দান করার জন্য তার জমানো ওই টাকা ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্যারের করোনা তহবিলে জমা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে যেভাবে আমাকে সম্মান দেয়া হলো এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের প্রতি খুব খুশি।