গাজীপুরের শ্রীপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত মা ও তার তিন সন্তানকে পাশাপাশি চারটি কবরে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার কলেজ রোডের আবদার গ্রামের প্রবাসী কাজল মিয়ার দোতলা বাড়ি থেকে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় তার বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওরিন হাওয়া (১২) ও বাক প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৮) এবং ইন্দোনেশীয় বংশোদ্ভুত তার স্ত্রী স্মৃতি ফাতেমা আক্তারের (৪৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ময়মনসিংহের লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব জানান, ময়না তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার নিহতদের লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামে পৌছে। রাতে তারাবীহ’র নামাজ শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি চারটি কবরে নিহতদের লাশ দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোখলেছুর রহমান।

তিনি আরো জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে জানাজায় যেন ব্যাপক লোক সমাগম না হয় সেজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল। আমরা সেই মোতাবেকই দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।

প্রবাসী কাজলের ভাগ্নে মেহেদী হাসান জানান, ময়মনসিংহের পাগলা থানার লংগাইর ইউনিয়নের গোলবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কাজল মিয়া প্রায় দেড়যুগ আগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার কলেজ রোডের আবদার গ্রামে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। এ বাড়িতেই তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন। কাজল মিয়া বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এবং চাকুরি করছেন। মালয়েশিয়ার আগে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৬ বছর চাকুরি করেন। সেখানে থাকাকালীন কাজল মিয়া ওই দেশের নাগরিক স্ত্রী স্মৃতি ফাতেমা আক্তারকে প্রায় ২০ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে কাজল দেশে চলে আসেন। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীপুরের বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে কাজল মিয়ার স্ত্রী ও তিন সন্তানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।