কলাপাড়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমনে কর্মহীন হয়ে পরা হতদরিদ্র, দু:স্থ ও অসহায়দের মাঝে দুই পুলিশ সদস্য। শুধু নিরাপত্তাই নয়, মাঠে থেকে সচেতনাতা বৃদ্ধি ও কর্মহীন ক্ষুধার্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন কলাপাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সম্মিত রায় ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় দাস। প্রাপ্তির আশায় নয়, মানুষের অসহায়ত্বের বিবেচনা করেই মানবিক দ্বায়িত্ববোধ থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রত্যেক পরিবারেকে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি মুশরী ডাল, এক কেজি আটা, এক কেজি সয়াবিন তৈল, এক কেজি লবন, একটি করে সাবান দেয়া হয়েছে। শুধু দিনের আলোতে নয়, রাতের আধাঁরেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে শতাধিক কর্মহীন মানুষের হাতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এক সপ্তাহ ধরে কাজের ফাঁকে ফাঁকে তারা এ খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। পুলিশ সদস্যদের এমন মানবিক আচরণ দেখে অনেকেই অবাক।

সমালোচনা, উপহাস, বিদ্রুপ, কটাক্ষ অনেক কিছুই সহ্য করতে হয় পুলিশকে। সেই পুলিশ সদস্যরা নিজেদের বেতনের টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে পৌঁছে দিচ্ছেন কর্মহীন ও হতদরিদ্রদের বাড়িতে। যেখানে নিজেদেরই থেকে যায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রহীর অভাব। নিম্নবিত্ত ও কর্মহীন মানুষের আহার নিয়ে উদ্বিগ্ন যখন অনেকেই। তখন পুলিশের কানে ভেসে আসে মধ্যবিত্ত ও কর্মহীনদের বোবা কান্না। খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেয় পুলিশই।

কলাপাড়া থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় দাস জানান, নিজেদের বেতনের টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে ওইসব কর্মহীন পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। তবে এ সংকটময় মুহুর্তে সমাজের বিত্তবানদেরও ক্ষুধার্থ মানুষের পাশে এসে দাড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।

কলাপাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সম্বিত রায় জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমনের এই পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি