নীলফামারী সদরের কচুকাটা গ্রামে কলেজ ছাত্র আবু মুসা(২১)কে পরিকল্পিতভাবে ট্রলি (ট্রাক্টর)চাপায় হত্যার ঘটনায় বাবা মার্শাল আলী (৫০) ও তার ছেলে আশিক ইসলাম(১৬)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) গভীর রাতে নীলফামারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে নীলফামারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যার শিকার মুসা কচুকাটার সরদারপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। সে নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।এদিকে বুধবার(২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকাবাসী বাবা ছেলের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসী দাবি করে সড়কে উপর বিক্ষোভ করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আবু মুসার ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে ট্রলিতে বালু মাটির ব্যবসা করেন পাশ্ববর্তী বড়বাড়ী গ্রামের মার্শাল আলী। আর ট্রাক্টরের চালক মার্শাল আলীর ১৬ বছরের ছেলে আশিক। বাবা ছেলে টানা ৩মাসের ট্রলির ভাড়া বাকী রাখায় মুসার সঙ্গে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নীলফামারী-জলঢাকা সড়কে কচুকাটা বাজারে মার্শাল আলীর ছেলে আশিক ট্রাক্টরের চালিয়ে এলে তার সামনে দাঁড়িয়ে টাকা দাবি করে মুসা। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে এসে মার্শাল মিয়া তার ছেলেকে হুকুম দেয় মুসাকে ট্রাক্টরের চাপা দিয়ে মেরে ফেলতে। বাবার হুকুম পেয়ে চালক আশিক আলী আবু মুশাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় আবু মুসাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পড়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্ত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার(২৮এপ্রিল) বিকেলে মুসার মৃত্যু হয়।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কচুকাটা বাজারে বিক্ষোভ শেষে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক অবরোধ করে।খবর পেয়ে নীলফামারী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন ও নীলফামারী থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের গ্রেতারের প্রতিশ্রুতি দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।সদর থানার ওসি জানান, রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিশেষ প্রতিনিধি॥