নীলফামারীতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া ২৮ ইটভাটা শ্রমিককে আবারো আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন গ্রামে।পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) রাত ৯টায় জেলা সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।বুধবার(২৯ এপ্রিল) সকাল হতে পালিয়ে যাওয়া ২৮জনকে খুঁজতে পুলিশ ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মাঠে নামেন। বিকাল ৫টায় তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পূর্ণরায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ করা হয়। পাশাপাশি তাদের বাড়ি লকডাউন করে পরিবারের সদস্যকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার(২৮এপ্রিল) সকালে সৈয়দপুর থানা পুলিশ সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের চৌমুহনী বাজারের অস্থায়ী পুলিশ চেকপোষ্ট ৪৪জন ভাটা শ্রমিককে আটক করে। তারা ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে বিশেষ কায়দায় গাজীপুর থেকে পালিয়ে আসতেছিল। পরে পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিকাল ৪টার দিকে আটক ইটভাটা শ্রমিকদের তাদের নিজ গ্রাম নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় ও চকদুবলিয়া গ্রামের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সুত্রে কোয়ারেন্টাইন না মেনে ওইসব শ্রমিককে বুধবার(২৯এপ্রিল)সকালে তাদের নিজ নিজ বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ অবহিত করলে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।পরে বিকাল ৫টায় পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকদের আবারো নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পূর্ণরায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকদের দেখভালের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গ্রা পুলিশ নিয়োজিত ছিল। কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকদের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করার সময় ওই এলাকা থেকে জনৈক ব্যক্তি ফোন করে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানান। নীলফামারী সদর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিলে ওই সকল শ্রমিকদের আটক করে তাদের বুঝিয়ে কোয়ারেন্টাইনে ফিরে আনা হয়।

সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি॥