দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘লকডাউন’ (অবরুদ্ধ) এখন অনেকটাই কাগুজে আদেশে পরিণত হয়েছে। করোনা এড়াতে জেলা প্রশাসন গত ১৫ এপ্রিল থেকে পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করলেও ফুলবাড়ী উপজেলার চিত্র এখন অনেকটাই স্বাভাবিক সময়ের মতো। শহরের পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারগুলোও এখন অনেকটাই ‘শিথিল’ হয়ে গেছে লকডাউন।
গতকাল শনিবার পৌরশহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সেই পুরনো চিত্র। বরং দিনদিন রাস্তায় বাড়ছে মানুষের সমাগম। করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি জেনেও রাস্তায় বের হচ্ছেন হাজারো মানুষ। ওষুধ এবং মুদি দোকান ব্যতিত এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় অন্যান্য দোকান বা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভিন্ন কৌশলে দোকান চালাচ্ছেন ইলেষ্ট্রনিক, কসমেটিক্স, হার্ডওয়্যার, কাপড় ও মুঠোফোনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে থেকে ক্রেতা নিশ্চিত করে তবেই ভেতরে ঢুকিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন তারা। একদিকে চলছে ভ্রাম্যমান অভিযান, অন্যদিকে সুযোগ বুঝে কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শহরের রাস্তাঘাটে আগের চেয়ে মোটরসাইকেলের চলাচল বেড়েছে। রিকশা-ভ্যানের পাশাপাশি কিছু অটোরিকশাও চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লকডাউনকে কার্যকর করার জন্য জনসাধারণকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হতে নিষেধ করা হয়। একই সাথে মোটরসাইকেল ব্যবহার না করার জন্য এবং জরুরী প্রয়োজনে তা করা হলেও চালক ব্যতিত অন্যকাউকে বহণ না করার জন্য বলা হয় এবং ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। প্রশাসন কিংবা পুলিশের লোকজন দেখলেই সবাই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যারা প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

আফরোজ জাহান সেতু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি