লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ১০ বছরের এক শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আলমগীর হোসেন (২২) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার (৯ মে) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাউন্সিল পাড়া এলাকার পাশে একটি স্কুলে ধর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটে। এতে ঐ ছাত্রীটির প্রচুর ব্লাডিং হয়। ধর্ষক আলমগীর হোসেন উপজেলার কাউন্সিল পাড়া এলাকার মৃত কাশেম আলীর ছেলে। পেশায় সে কারেন্ট মিস্ত্রি। শিশুটি একই এলাকায় তার নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।

ধর্ষণের শিকার শিশুটি বলেন, লম্পট আলমগীর হোসেন শনিবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে ডেকে শাহ গরীবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ফলে তার প্রচুর ব্লাডিং হয়। এসময় সে কান্নাকাটি করলে ধর্ষক তার হাতে ৬০ টাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সে বাড়িতে গিয়ে তার নানী আসমা বেগমকে বিষয়টি খুলে বলেন। শিশুটির নানী আসমা বেগম বলেন, বিকাল বেলা শিশুটি কাদতে কাদতে বাড়িতে যায়। এসময় তার পরনের সালোয়ারসহ পায়ে প্রচুর রক্ত দেখে জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি জানান লম্পট আলমগীর হোসেন তাকে জোরপূর্বক ঐ স্কুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আসমা বেগম শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে দেন।

হাতীবান্ধায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ডিউটিরত আবাসিক মেডিলেল অফিসার ডাক্তার আল মামুন বলেন, শিশুটির প্রচুর ব্লাডিং হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে শিশুটি ও তার অবিভাবকের জবানবন্দি শুনে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলামত পরীক্ষা করার জন্য শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) উমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এমন খবর পাবার সাথে সাথে লম্পট আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল সকালে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।