করোনাভাইরাসে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সারাদেশের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৭৩ জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ২৬৮ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৮ জনে। এদিকে আরও ২৫৬ সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট চার হাজার ৩৭৩ জন সুস্থ হলেন।

আজ রোববার (২২ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ১৪ জন। তার মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। ২৪ ঘণ্টায় আরও আট হাজার ৫৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় আট হাজার ১১৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো—যাত্রাবাড়ী ২১৯, মিরপুর এলাকা ২১২, মহাখালী ২০৪, রাজারবাগ ২০২, মোহাম্মদপুর ১৮২, মুগদা ১৮২, কাকরাইল ১৭৬, তেজগাঁও ১২২, লালবাগ ১১৬, বাবুবাজার ১১৫, উত্তরা ১০১, মগবাজার ৯৭, মালিবাগ ৯৩, বাড্ডা ৮৫, ধানমন্ডি ৮৩, বংশাল ৮২, খিলগাঁও ৭৮, গেন্ডারিয়া ৭৩, পল্টন ৭১, চকবাজার ৬৯, শাহবাগ ৬৮, শ্যামলী ৬৪, ওয়ারী ৬১, গুলশান ৬০, বাসাবো ৫৭, রামপুরা ৫৫, আগারগাঁও ৫৫, হাজারীবাগ ৫৪, রমনা ৪৯, স্বামীবাগ ৪৯, বনানী ৪৪, জুরাইন ৪৩, কামরাঙ্গীরচর ৪২, মিটফোর্ড ৩৮, সূত্রাপুর ৩৭, চাঁনখারপুল ৩৭, ইস্কাটন ৩৬, গ্রিন রোড ৩৪, ফার্মগেট ৩৪, শাঁখারীবাজার ২৮, আজিমপুর ২৭, আদাবর ২৫, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ২১, টোলারবাগ ১৯, বনশ্রী ১৮, শান্তিনগর ১৪, টিকাটুলি ১৪, বারিধারা ১৩, নারিন্দা ১১, গোপীবাগ ১১, লক্ষ্মীবাজার ১০, শাজাহানপুর ১০, কোতোয়ালি ৯, নাখালপাড়া ৯, ডেমরা ৯, নাজিরাবাজার ৯, কাজীপাড়া ৮, গুলিস্তান ৭, সবুজবাগ ৭, ক্যান্টনমেন্ট ৭, নয়াবাজার ৭, জিগাতলা ৬, শনিরআখড়া ৬, কল্যাণপুর ৬, কলাবাগান ৬, শেরে বাংলানগর ৬, কদমতলী ৫, শান্তিবাগ ৫, বকশীবাজার ৫, কারওয়ান বাজার ৫, এলিফ্যান্ট রোড ৫, পোস্তগোলা ৫, বেইলি রোড ৪, সায়েদাবাদ ৪, রায়ের বাজার ৪, সিদ্ধেশ্বরী ৪, মাতুয়াইল ৪, তেজতুরী বাজার ৪, শেওড়াপাড়া ৪, মালিটোলা ৪, নবাবগঞ্জ ৪, নিমতলী ৪, সেগুনবাগিচা ৪, সোয়ারীঘাট ৩, পীরেরবাগ ৩, হাতিরপুল ৩, হাতিরঝিল ৩, গোড়ান ৩, খিলক্ষেত ৩, সদরঘাট ৩, গণকটুলি ৩, তাঁতীবাজার ৩, নীলক্ষেত ৩, আবদুল্লাহপুর ৩, সেন্ট্রাল রোড ২, ইসলামপুর ২, শাহ আলীবাগ ২, দয়াগঞ্জ ২, ধোলাইখাল ২, জেলগেট ২, আরমানিটোলা ২, কুড়িল ২, মতিঝিল ২, ভাটারা ২, রায়েরবাগ ২, বাংলামোটর ২, মানিকনগর ২, আমিনবাজার ২, আমলাপাড়া ২, কমলাপুর ২, ফকিরাপুল ২, ইব্রাহীমপুর ২, মাদারটেক ২, রাজাবাজার ২, ইসলামবাগ ২, মেরাদিয়া ২, তেজকুনীপাড়া ২, বসিলা ১, বুয়েট এলাকা ১, উর্দু রোড ১, নিকুঞ্জ ১, আশকোনা ১, মানিকদী ১, বেড়িবাঁধ ১, বেগুনবাড়ী ১, ঢাকেশ্বরী ১, নবাবপুর ১, বানিয়ানগর ১, শ্যামপুর ১, বেগমবাজার ১, ফরিদাবাদ ১, কচুক্ষেত ১, সায়েন্সল্যাব ১, শেখেরটেক ১, কলতাবাজার ১, মোহনপুর ১, গোলারটেক ১, কাঁঠালবাগান ১, তুরাগ ১, দনিয়া ১, করাতিটোলা ১, রসুলপুর ১, রূপগঞ্জ ১, বিজয়নগর ১, দক্ষিণখান ১, মান্ডা ১, মণিপুর ১ ও আফতাবনগর ১ জন।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত কয়েকদিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।