বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় গণভবনে কয়েকটি জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং এ প্রধানমন্ত্রী ২৭ এপ্রিল এ কথা জানিয়েছেন।

“স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটাও আমরা এখন খুলবো না। সেটা আমরা কখন খুলবো, অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্কুল-কলেজ সবই বন্ধ থাকবে, যদিও না করোনাভাইরাস তখনো অব্যাহত থাকে।” “যখন এটা (করোনাভাইরাস) থামবে, আমরা তখনি খুলবো।”

উল্লেখযোগ্য যে বাংলাদেশে মার্চ মাসের আট তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর ১৬ই মার্চ সরকার ঘোষণা দেয়, ১৭ই মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন স্কুল শিক্ষক সামাজিক দুরত্ব না মেনে পিপিই মাস্ক গ্লোপস ছাড়া চালিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট বানিজ্য।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় হাটুরিয়া গ্রামের বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান সাঈদ একই গ্রামের ইতি বানু গোপনে প্রাইভেট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রীর আদেশ নিষেধাজ্ঞা করে বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে অপরদিকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় কোন সামাজিক দূরত্ব বজায় হচ্ছে না এবং তারা না সতর্কতার জন্য ব্যবহার করছেন মাস্ক গ্লোপস।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান সাঈদের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমত অস্বীকার করে বলেন আমি কোন প্রাইভেট পড়াইতাছিনা, আমি শুধু আমার ছেলেমেয়েদের পড়াই। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে তিনি আবার বলেন আমার নাতী আছে ওকে ও পড়াই। এইভাবে ঝুঁকি নিয়ে কোন সতর্কতা না নিয়ে পড়ানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান তার কাছে পিপিই মাস্ক গ্লোপস নেই তাই ব্যবহার করেন না।

অপর ব্যক্তি আত্রাই উপজেলার ইতি বানুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য যুক্ত করা সম্ভব হয়নাই।

তাদের এইভাবে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, দেশের এই সংকট মূহুর্তে অনেক সচেতন শিক্ষক যেখানে প্রাইভেট কোচিং বন্ধ করে দিয়েছে অথচ অর্থলোভী, বিবেকহীন এই শিক্ষকেরা তাদের প্রাইভেট চালিয়ে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে এবং এই হাটুরিয়া গ্রামের সব পাড়া থেকে ছেলে মেয়েরা এক জায়গায় মিলিত হওয়ায় যে কোনো সময় করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটতে পারে। তাতে নিমিষেই গোটা গ্রাম ও এলাকা আক্রান্ত হতে পারে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করে এদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।