গাজীপুরে চকোলেট দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসার ছাত্রী সাত বছরের এক শিশুকে গণধর্ষনের পর শ^াসরোধে হত্যার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করেছে র‌্যাব-১’র সদস্যরা। সোমবার র‌্যাব-১’র পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আটককৃতের নাম মোঃ নিলয় (১৫)। সে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার কুমড়ি গ্রামের মোঃ ওমর ফারুকের ছেলে। তারা গাজীপুরের টঙ্গীর বেলতলা মসজিদ রোডের কাউছার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

র‌্যাব-১ এর ওই কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৬ মে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রেল গেইট এলাকার একটি ময়লার স্তুপ থেকে বেলতলা স্থানীয় এলাকার ভাড়াটিয়া মামুন মিয়ার মেয়ে চাদনীর (৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় এক মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। নিহতের গলায় ও দুই পায়ে আঘাতের চিহ্নসহ ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এ বিষয়ে চাদনীর পিতা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় সোমবার ভোর রাতে টঙ্গী পূর্ব থানার রেল স্টেশন এলাকা থেকে কিশোর নিলয়কে আটক করা হয়।

র‌্যাব’র ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আটক ওই কিশোর চুরি, ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। সে এবং তার সহযোগীরা মিলে টঙ্গী রেল স্টেশন এবং তার আশপাশ এলাকায় নিয়মিত চুরি ছিনতাই সংঘঠিত করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটক নিলয় জানায়, গত ১৫ মে বিকেলে ভিকটিম চাদনী খেলাধুলা করতে বাসার পার্শ্ববর্তী মাঠে যায়। এসময় নিলয় ও তার এক পলাতক সহযোগী ভিকটিম চাদনীকে চোখে চোখে রাখে। খেলাধুলা চলাকালীন ওই শিশুকে কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে ফুল পেড়ে দেয় নিলয়। খেলা শেষে চাদনী বাসায় ফিরছিল। এসময় বৃষ্টি হওয়ায় আশেপাশে লোক সমাগম কম থাকার সুযোগে নিলয় ও তার সহযোগী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চাদনীকে চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী টঙ্গীস্থ মধুমিতা রেল গেইট এলাকায় সজীবের ইটের স্তুপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে সে ও তার সহযোগী শিশু চাদনীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে চাদনী কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ধর্ষণের শিকার শিশু চাদনী বাসায় ফিরে সবাইকে সবকিছু বলে দিবে- এ আশংকায় নিলয় ও তার সহযোগী গলাটিপে ও দু’পায়ে আঘাত করে নির্মমভাবে চাদনীকে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা ভিকটিম চাদনীর লাশ ময়লার স্তুপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামীকে আটক করতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।