গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমানের ছোট ভাই হাফিজুর রহমানকে চাঁদাবাজি ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় পৌরসভার মাধখলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শ্রীপুরের গিলারাচালা এলাকার এসরোটেক্স পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবী ও গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন এবং তার পরিবারকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মানহানিকর অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় দুটি মামলা হয়।

গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন জানান, গত দুই বছর আগে থেকে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান তাকেসহ তার পরিবারের নামে মনগড়া বানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল। একের পর এক উদ্ভট এবং সাজানো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার করায় তিনি সপরিবারে ও রাজনৈতিকভাবে মানহানির শিকার হয়েছেন। তিনি ঘটনা মোকাবিলায় রবিবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালা এলাকার এসরোটেক্স পোশাক কারখানা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তামান্না তাহমিনা তানজিনা বাদী হয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে সোমবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। ঝুট ব্যবসা দেয়া না হলে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানকে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে দিতে হবে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন।

গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক রাজীব দাস জানান, মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সহযোগিতা করেছে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানের অপর ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে সোমবার জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন না মঞ্জুর করেছেন। এসরোটেক্স পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আমার ভাইয়ের ফোনে কী কথোপকথন হয়েছে তা আমি জানি না। এ মামলার ঘটনা আমাদের জানা নেই। আমরা বিষ্মিত, আইনগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।