দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে নমুনা ডিম দিয়েছে মা মাছ। হালদা নদী থেকে ২৫ হাজার ৫শ ৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ। গতবছর সংগ্রহ করা হয় ১০ হাজার ২শ কেজি, আর একে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে হালদা পাড়ে। আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে মা মাছ ডিম দেওয়া শুরু করে। পরে আজ সকালে মা মাছগুলো নদীতে পুরোদমে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে, হালদা নদীতে মা মাছের ডিম দেওয়ার খবরে জেলেরা ছোট ছোট নৌকাতে করে ডিম সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছে। প্রায় ৩০০ নৌকায় দেড় হাজার মৎস্যজীবী ডিম সংগ্রহ করছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এর আগে বংশ পরম্পরায় গ্রামীণ পদ্ধতিতে এতদিন এসব ডিম ফুটিয়ে রেণু বানাতো জেলেরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৎস্য বিভাগ প্রতিটি অস্থায়ী হ্যাচারিতে তদারকি শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি এতে বেড়েছে ডিম থেকে রেণু উৎপাদনের হার। হালদা নদীর সত্তার ঘাট, অংকুরী ঘোনা, মদুনাঘাট, গড়দুয়ারা, কান্তার আলী চৌধুরী ঘাট, নাপিতের ঘোনা ও মার্দাশা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মা মাছ ডিম ছেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন জানান, সংগ্রহ করা ডিম থেকে রেণু ফোটানো হবে। পরিচর্যার মধ্য দিয়ে সেই ডিম থেকে পোনা হবে। ডিম ফোটানোর জন্য তিনটি হ্যাচারি ও ৬০টি কুয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আরও কুয়া প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি।’ এর আগে গত বছর হালদা নদী থেকে প্রায় সাত হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল।