দেশে করোনাভাইরাসে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৭৩ জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৭৮ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫২ জনে। এদিকে আরও ২৯৬ সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ছয় হাজার ৪৮৬ জন সুস্থ হলেন।

আজ শনিবার (২৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৫টি।

তিনি জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের ১৬ জন পুরুষ ও চারজন নারী। চারজন ঢাকা বিভাগের, আটজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন করে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন করে সিলেট ও খুলনা বিভাগের। হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাসায় চারজন এবং হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন একজন। বয়সের দিক থেকে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন এবং সত্তরোর্ধ্ব একজন রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৮৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৩০৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৬৯ জন। নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৩২২ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৬০ হাজার ৪১৬ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৮৮ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ পাঁচ হাজার ২৫৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ১৫৭ জন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।