বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতেই শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫ জন। আর ঢাকার বাকি উপজেলাগুলো মিলে জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৯২ জন। জেলাভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ করোনা রোগী আছে ঢাকায়। গতকাল সোমবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার ভেতর সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে মহাখালী এলাকায়। সেখানে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৩৭ জন। এরপরে যাত্রাবাড়ীতে শনাক্ত হয়েছে ৩০৭ জন আর কাকরাইলে শনাক্ত হয়েছে ২৯৮ জন।

দুইশর বেশি রোগী পাওয়া গেছে মুগদায় (২৯৫), মোহাম্মদপুরে (২৮০), রাজারবাগ (২১৩), উত্তরায় (২১১) এবং মিরপুরে (২০৭)।

একশর বেশি রোগী রয়েছে মগবাজারে (১৯৭), তেজগাঁওয়ে (১৭৭) লালবাগে (১৬২), খিলগাঁওয়ে (১৫০) ধানমণ্ডিতে (১৪৯), বাবু বাজার এলাকায় (১৪৩), মালিবাগে (১৩১), বাড্ডায় (১২৭)।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দেশের ৬৪টি জেলাতেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

জেলাভিত্তিক শনাক্ত রোগীর হিসেবে ঢাকার পরেই সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জে। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এ জেলায় অন্তত ১ হাজার ৮৩৭ জন রোগী রয়েছে। এই শহরটিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগের নতুন কেন্দ্রস্থল বলে বর্ণনা করেছিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এরপর অবস্থান করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। সে জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১,৭৮৯ জন।

এ ছাড়া রোগী শনাক্তের দিক থেকে এরপরেই রয়েছে মুন্সিগঞ্জ (৬০১), গাজীপুর (৫৯১), কুমিল্লায় (৫৬৭), কক্সবাজারে (৪১০), ময়মনসিংহ (৩৯৯), রংপুরে (৩৮০) জন। নোয়াখালীতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৭৮ জন

সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে মেহেরপুরে, ১২ জন। কম রোগী রয়েছে ভোলা (১৪) ও সিরাজগঞ্জেও (১৫)।

এদিকে আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৪৬৬টি। নতুন পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৬৬ জন, মারা গেছে ২১ জন এবং সুস্থ হয়েছে ২৪৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫২২ জন।