পাবনার চাটমোহরে এক কলেজ ছাত্রী গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে এবং এক একই সাথে আরেক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছে। যৌন হয়রানীর শিকার শিক্ষার্থীর বৃদ্ধিমত্তা ঘটনার সাথে জড়িতদের তিন ধর্ষককে এলাকাবাসী ও পরিবার সদস্যরা হাতে নাতে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। আটককৃতরা ধর্ষকরা হচ্ছে, জেলার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম রেজা (৩৮), জয়লাল হোসেনের ছেলে শুকুর আলী (৪০) ও শাহজাহান আলীর ছেলে ইসরাইল হোসেন (৪২)। এ সময় জামাল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০) নামের আরেক ধর্ষক পালিয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটে ঈদের দিন সন্ধ্যা রাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের একটি পাট ক্ষেতে।

পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন জানান, ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চাটমোহর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী (১৬) ও মাদারবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) চরপাড়া নিজ বাড়ির কিছু দুরে এক কবিরাজের কাছে যায় ঝাঁড়ফুক নেওয়ার জন্য যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা রেজা, শুকুর, ইসরাইল ও ফারুক পথের পাশেই একটি পাট ক্ষেতে ওই দুই ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়। আর ধর্ষণের চেষ্টাকালে স্কুল ছাত্রী ধর্ষকদের চিনে ফেললে তাদের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে তাদের হাত ফসকে দৌড়ে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। বাড়ি গিয়ে ঘটনা বলে খুলে জানালে এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় ফারুক নামের এক ধর্ষক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই গ্রাম থেকে তিনজন ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আটককৃত আসামীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে ধর্ষকেরা। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যৌন হয়রানী নির্মূল কমিটি ও মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন)‘র সেক্টর স্পোশালিষ্ট হাসিনা আখতার এক বিবৃতিতে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানিয়েছেন।