কলাপাড়ায় করোনা সংক্রমন আতংকে ঢাকার গাজীপুর থেকে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসায় কাটার বেড়া দিয়ে একটি পরিবারকে ঘরের মধ্যে আটকে করে রেখেছে গ্রামবাসী। মঙ্গলবার রাতে আতংকিত গ্রামবাসী নিজেদের সুরক্ষায় এমন বেড়া দিয়েছে বলে জানান। কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সমুদ্র-সৈকত লাগোয়া পাঞ্জুপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এলাকা জুড়ে আতংক আতংক বিরাজ করছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শারমিন ঢাকার গাজীপুরে বসবাসরত স্বামী মোস্তফার সাথে ঝগড়া করে কোনাবাড়ি থেকে শিশু সন্তান নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ভাই শাহিনের বাড়িতে আসে। এখবর পেয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে করোনা আতংক ছড়িয়ে পরে। আতংকিত গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ঐ বাড়ির চারপাশে কাটা ও তালপাতার বেড়া দিয়ে ঘরে থেকে বের হবার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

পাঞ্জুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুস বলেন, শারমিন তার স্বামীর সাথেপারিবারিক কলহ নিয়ে ঝগড়া করে শিশু পুত্রকে নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে এসে ওঠে। শারমিনের শরীরে তার স্বামী কর্তৃক মারধরের চিহ্ন রয়েছে। কুদ্দুস আরো বলেন, গাজীপুর থেকে আসায় শারমিনের শরীরে করোনা ভাইরাস থাকতে পারে এমন আতংক থেকে গ্রামবাসীরা মিলে ঐ বাড়িটির চার পাশে বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেই তারা এমনটা করেছে বলে দাবী করেন তিনি। গ্রামবাসীরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান জানান, এবিষয় কেউ তার কাছে অভিযোগ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি