পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনা আক্রান্তের খবর পেয়েই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ৩৫ বছরের এক যুবক পালিয়েছে। বুধবার গভীররাতে ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের কোয়ারেন্টিন থেকে তিনি পালিয়ে যান। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, করোনা আক্রান্ত যুবক উপজেলার পৌর এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। সে ঢাকা ফেরৎ একজন ইটভাটার শ্রমিক। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত সাত জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানান, আক্রান্ত ওই যুবক ঢাকার সাভার এলাকায় একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত ২২ মে ঈদের ছুটিতে তিনি ভাঙ্গুড়ায় আসেন। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারি হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এ সময় তার শরীরে কোন প্রকার করোনা উপসর্গ ছিল না। ২৩ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। সে সময় থেকে বুধবার পর্যন্ত ওই ব্যক্তিসহ আরও ৬ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। বুধবার রাতে ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজেটিভ বলে রাজশাহী থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। এ খবর জানার পরপরই ওই যুবক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকালে স্বেচ্ছাসেবীরা ওই প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের খাবার দিতে গিয়ে দেনে সে নেই, পালিয়ে গেছে। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খাতুন বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সকলেই উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তাকে খুঁজে বের করতে প্রশাসনের একাধিক দপ্তর কাজ করছে। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।