দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিদ্যুৎ বেগে বাড়ছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এদিন ৩ জনের শরীরে মহামারী এই ভাইরাস ধরা পড়ে। চলতি মে মাসের শুরুতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ২৩৮ জনে। আর মাসের শেষে ৩১ মে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ হাজার ১৫৩ জনে।

তবে এখন আগের থেকে নমুনা সংগ্রহ-পরীক্ষা, করোনায় মৃত্যু ও সুস্থ হওয়ার সংখ্যায় তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। পহেলা মে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয় ৫৭১ জনের। সব মিলিয়ে এদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮,২৩৮ জনে। এই সময়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭০ জন এবং মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা ছিল ১৭৪ জন।

করোনাভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ কমছে না। আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫২টি ল্যাবে ১১ হাজার ৮৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১৫৩ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪০ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫০ জনে। এদিকে আরও ৪০৬ সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট নয় হাজার ৭৮১ জন সুস্থ হলেন। সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ, নারী ৭ জন। গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আছেন ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, রাজশাহীতে ১ জন, রংপুরে ১ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মারা গেছেন ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী মারা গেছেন ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৪ জন মারা গেছেন।