গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বুধবার স্বামী পরিত্যাক্তা এক গৃহকর্মী খুন হয়েছে। বিকেলে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের নাম পারভীন আক্তার (৩৮)। তার বাড়ী কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের মাহাতাবপুর গ্রামের সুবেদ আলীর মেয়ে।

আটককৃতের নাম হাফিজুর রহমান টিটু (৪৩)। সে কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জুনিয়া গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে।

কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম ও এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর আগে পারভীনের বিয়ে হয়েছিল তরগাঁও ইউনিয়নের বাঘিয়া চিনাডুলি গ্রামের আব্দুর রশিদের সঙ্গে। দাম্পত্য কলহের কারণে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর কয়েক বছর যাবৎ পারভীন কাপাসিয়ার সদর ইউনিয়নের জামিরার চর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। পরিচয়ের সূত্রধরে পারভীন স্থানীয় বখাটে যুবক টিটুর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। বিদেশ ফেরত টিটু মাদকাসক্ত ছিল। তার বাড়িতে প্রায়শঃ নেশার আসর বসত। পারভীন সেখানে তাদের মনোরঞ্জন করত। মঙ্গলবার রাতে টিটুর বাড়িতে রাত্রি যাপন করে পারভীন। তাকে নিয়ে টিটু রাতভর মাদক সেবন ও আনন্দ ফুর্তি করে। ভোরে চলে যাওয়ার সময় টিটুর কাছে পারভীন টাকা চাইলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে টিটু লোহার রড দিয়ে পারভীনের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই পারভীন নিহত হয়। দিনভর এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় টিটু ও তার লোকজন। এ গোপন খবর পেয়ে বিকেলে নিহতের লাশ টিটুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। এসময় টিটুকে আটক করা হয়। এর আগেও মারধরের অভিযোগে টিটুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পারভীন। ওই মামলায় টিটুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।