দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিভিন্ন জেলার তুলনায় রাজধানীতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৩৫ জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ২৬ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪৬ জনে। এদিকে আরও ৫২১ সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১৩ হাজার ৩২৫ জন সুস্থ হলেন।

শনিবার (৬ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ৯০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৪৮৬টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো তিন লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.১০ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩১৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭ হাজার ১৬২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৮ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৬ হাজার ২৯৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো- মিরপুর এলাকা ৪১৩, কাকরাইল ২৯৮, যাত্রাবাড়ী ২৭৯, মহাখালী ২৫৯, মোহাম্মদপুর ২২৪, মুগদা ২২১, রাজারবাগ ২০৭, উত্তরা ১৬২, তেজগাঁও ১৫৩, মগবাজার ১৫১, লালবাগ ১২৬, বাবু বাজার ১২৬, মালিবাগ ১১৯, ধানমন্ডি ১১৬, বাড্ডা ১০৮, খিলগাঁও ৯৮, গেন্ডারিয়া ৮৭, বংশাল ৮৫, বাসাবো ৮০, ওয়ারী ৭৯, আগারগাঁও ৭৮, শাহবাগ ৭৫, গুলশান ৭৫, শ্যামলী ৭৩, চকবাজার ৭১, হাজারীবাগ ৭০, পল্টন ৬৪, রামপুরা ৬৪, বনানী ৬১, স্বামীবাগ ৫৬, রমনা ৫০, জুরাইন ৪৯, ইস্কাটন ৪৬, কামরাঙ্গীরচর ৪৫, মিটফোর্ড ৪৪, নয়াবাজার ৪৪, গ্রিন রোড ৪২, শান্তিনগর ৪২, আজিমপুর ৪১, সূত্রাপুর ৪০, ফার্মগেট ৩৮, নারিন্দা ৩৭, চাঁনখারপুল ৩৭, মানিকনগর ৩৬, লালমাটিয়া ৩৩, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ৩১, শাঁখারীবাজার ২৮, আদাবর ২৫, টোলারবাগ ১৯, বনশ্রী ১৮, টিকাটুলি ১৪, বারিধারা ১৩, গোপীবাগ ১১, লক্ষ্মীবাজার ১০, শাজাহানপুর ১০, কোতোয়ালি ৯, নাখালপাড়া ৯, ডেমরা ৯, নাজিরাবাজার ৯, কাজীপাড়া ৮, গুলিস্তান ৭, সবুজবাগ ৭, ক্যান্টনমেন্ট ৭, জিগাতলা ৬, শনির আখড়া ৬, কল্যাণপুর ৬, কলাবাগান ৬, শেরে বাংলানগর ৬, কদমতলী ৫, শান্তিবাগ ৫, বকশীবাজার ৫, কারওয়ান বাজার ৫, এলিফ্যান্ট রোড ৫, পোস্তগোলা ৫, বেইলি রোড ৪, সায়েদাবাদ ৪, রায়ের বাজার ৪, সিদ্ধেশ্বরী ৪, মাতুয়াইল ৪, তেজতুরী বাজার ৪, শেওড়াপাড়া ৪, মালিটোলা ৪, নবাবগঞ্জ ৪, নিমতলী ৪, সেগুনবাগিচা ৪, সোয়ারীঘাট ৩, পীরেরবাগ ৩, হাতিরপুল ৩, হাতিরঝিল ৩, গোড়ান ৩, খিলক্ষেত ৩, সদরঘাট ৩, গণকটুলি ৩, তাঁতীবাজার ৩, নীলক্ষেত ৩, আবদুল্লাহপুর ৩, সেন্ট্রাল রোড ২, ইসলামপুর ২, শাহ আলীবাগ ২, দয়াগঞ্জ ২, ধোলাইখাল ২, জেলগেট ২, আরমানিটোলা ২, কুড়িল ২, মতিঝিল ২, ভাটারা ২, রায়েরবাগ ২, বাংলামোটর ২, আমিনবাজার ২, আমলাপাড়া ২, কমলাপুর ২, ফকিরাপুল ২, ইব্রাহীমপুর ২, মাদারটেক ২, রাজাবাজার ২, ইসলামবাগ ২, মেরাদিয়া ২, তেজকুনীপাড়া ২, বসিলা ১, বুয়েট এলাকা ১, উর্দু রোড ১, নিকুঞ্জ ১, আশকোনা ১, মানিকদী ১, বেড়িবাঁধ ১, বেগুনবাড়ী ১, ঢাকেশ্বরী ১, নবাবপুর ১, বানিয়ানগর ১, শ্যামপুর ১, বেগমবাজার ১, ফরিদাবাদ ১, কচুক্ষেত ১, সায়েন্সল্যাব ১, শেখেরটেক ১, কলতাবাজার ১, মোহনপুর ১, গোলারটেক ১, কাঁঠালবাগান ১, তুরাগ ১, দনিয়া ১, করাতিটোলা ১, রসুলপুর ১, রূপগঞ্জ ১, বিজয়নগর ১, দক্ষিণখান ১, মান্ডা ১, মণিপুর ১ ও আফতাবনগর ১ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।