কর্ণফুলি পেপার মিলের ম্যানেজ মেন্ট মিল বন্ধের কারন কাঁচামাল সংকট মানতে নারাজ ছিলেন, কিন্তু এটাই বাস্তব ছিল। কাঁচামাল সংকট এবং সরকারি অর্ডার না থাকায় গত ২৪ মে হতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় একসময়ের দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রাংগামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কর্নফুলি পেপার মিলস লিমিটেড। দীর্ঘ ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে গত ৬ জুন থেকে পুনরায় কাগজ উৎপাদন শুরু করেছে মিলটি। কেপিএম এর জি এম( উৎপাদন) গোলাম সরোয়ার জানান গতকাল ( ৬ জুন) ২৬ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন করেছে এই মিলটি। কিছু কাচাঁমাল থাকায় এই মিলটি উৎপাদনে যেতে পেরেছে। তিনি জানান, আগামী ১০ জুনের মধ্যে ৭০০ মেট্রিকটন কাচাঁমাল মিল কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করবে এবং মিলটি পুরোদমে উৎপাদনে যাবে,তবে এখনোও পর্যন্ত কাগজ সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল কারিকুলাম ফর টেক্সট বোর্ড( এনসিটিবি) কেপিএম হতে কাগজ কিনবে কিনা সেই বিষয়ে কোন লিখিত কাগজ পাঠায় নাই। তিনি জানান কেপিএম হতে এনসিটিবি ১০০০ মেট্রিকটন কাগজ কেনার কথা ছিল। এই প্রতিষ্ঠানটি কাগজ কিনলে কেপিএমে বিক্রয় সংকট থাকবে না বলে তিনি জানান।

বিসিআইসির এই প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার মেট্রিকটন হলেও বর্তমানে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ হাজার মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদনের ফলে এটি একটি লোকসানে প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে বলে শ্রমিকরা জানান। মিলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক কর্মকর্তারা জানান, যদি দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন হয় তাহলে এই মিলটির আর লোকসান গুনতে হবে না। তারা আরোও জানান, বর্তমানে যে যন্ত্রপাতি আছে তা দিয়ে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন করা যেতো।

এই বিষয়ে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন( সিবিএ) এর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু এই প্রতিনিধিকে বিষয়গুলোর সত্যতা প্রকাশ করে জানান, কাঁচামাল সংকট এবং বিক্রয় সংকটের ফলে কেপিএম এর উৎপাদন বন্ধ ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদক,কাপ্তাই(রাঙ্গামাটি)