দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৪২ জন। করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৪৩ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৫৭৮ জন।

আজ রোববার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২টি ল্যাবের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করেছি ১২ হাজার ৮৪২টি। নমুনা পরীক্ষা করেছি ১৩ হাজার ১৩৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ২ হাজার ৭৪৩ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।’

অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৫৭৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ৯০৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৪২ জন।’

মৃত্যুর বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে মারা যাওয়া ৪২ জনের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ২১-৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন ও ৯১-১০০ বছরের মধ্যে ১ জন।’

এলাকা বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনায় ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন। এই ৪২ জনের মধ্যে হাসপাতালে ৩০ জন মারা যান এবং ১২ জন বাড়িতে মারা যান বলেও জানান অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

এর আগে শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৬৩৫ জন, মারা গেছে ৩৫ জন। তার আগের দিন শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয় ২ হাজার ৮২৮ জন, মৃত্যু হয় ৩০ জনের।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।