বেঁচে থাকতে সম্মান দেওয়া না হলেও মৃত্যুর পর ঘোড়ার গাড়িতে করে রাজকীয় সম্মানে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হলো জর্জ ফ্লয়েডের মৃতদেহ। গতকাল মঙ্গলবার হিউস্টনের পিয়ারল্যান্ডে হিউস্টন পুলিশের বিশেষ এসকর্টে শোভাযাত্রার মাধ্যমে মেমোরিয়াল গার্ডেনস সেমেট্রিতে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

তার শেষকৃত্যে পরিবারের লোকজন ছাড়াও কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির জনপ্রতিনিধিরা এবং হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে সংবাদ প্রকাশ করে মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন।

গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।’

ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে আজ ১৫তম দিনেও বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। এদিকে গত সোমবার হেনেপিন কাউন্টি আদালতের বিচারক জ্যানিস রেডিং রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দিয়েছে।

এই রায়ে বলা হয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অথবা নিঃশর্তে ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা দেওয়ার বিনিময় জামিনে মুক্তি পাবেন জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকারী ডেরিক চাওভিন।