দেশে করোনাভাইরাসে দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তারমধ্যে রাজধানীতেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৪৭১ জন। এটি এযাবতকালের মধ্যে ২৫ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই নিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৫২৩ জন।

শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশের মোট ৫৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা। আর নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৬ হাজার ৯৫০টি। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ২৪৯ জন।

এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৫ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৭ জন। আর এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন এক হাজার ৯৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো- মিরপুর এলাকা ১,২১৪, উত্তরা ৫৩০, মহাখালী ৪৭৫, মোহাম্মদপুর ৪৫৫, মুগদা ৪৪৬, যাত্রাবাড়ী ৪১২, ধানমন্ডি ৩৫৯, কাকরাইল ৩০২, মগবাজার ২৭৭, তেজগাঁও ২৭৭, খিলগাঁও ২৪৮, রামপুরা ২৪৩, লালবাগ ২২৯, রাজারবাগ ২২৪, বাড্ডা ২১৯, গুলশান ১৮৮, মালিবাগ ১৮৫, বাবু বাজার ১৬২, গেন্ডারিয়া ১৫৫, বাসাবো ১৪০, ওয়ারী ১৩৫ বংশাল ১১৫, আগারগাঁও ১১৪, শ্যামলী ১১৪, পল্টন ১০৮, আজিমপুর ১০৪, শাহবাগ ১০৩, হাজারীবাগ ১০২, বনানী ৯৯, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ৯৩, ডেমরা ৮৭, আদাবর ৮৬, বনশ্রী ৮২ ও পোস্তগোলা ৫ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা দেয় আইইডিসিআর। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।